December 22, 2024, 2:17 pm

সংবাদ শিরোনাম
পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়, পুলিশ ও জনগণ একে অন্যের পরিপূরক-রেজাউল করিম মল্লিক দলের পরিবর্তন হয়েছে চরিত্রের পরিবর্তন হয়নি শায়খে চরমোনাই মুফতি ফয়জুল করীম আপনারা শান্তিতে থাকুন আমরা চাই,আমাদেরকেও আপনারা শান্তিতে থাকতে দিন- ডা. শফিকুর রহমান যশোরে গাছের সাথে বাসের ধাক্কায় নিহত ১ পার্বতীপুরে ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা ২০২৪ অনুষ্ঠিত বাংলাভিশন ডিজিটালের নির্বাহী সম্পাদকের বিরুদ্ধে নাবিলের অপপ্রচারের প্রতিবাদ হিলিতে বিজিবি দিবসে বিএসএফকে মিষ্টি উপহার বিজিবির কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে আওয়ামী লীগের নেতা গ্রেপ্তার পটুয়াখালীতে বাড়ির সীমানা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত-৬ গভীর রাতে আশ্রায়ন প্রকল্পের শীতার্তদের পাশে হাকিমপুরের ইউএনও অমিত রায়

রোহিঙ্গা নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে

রোহিঙ্গা নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে


মিয়ানমার একদিকে বিশ্বের চোখে ধুলা দিতে সমঝোতা, পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়াসহ নানা ধরনের কথা বলছে, অন্যদিকে মিয়ানমারে থাকা অবশিষ্ট রোহিঙ্গাদেরও বিতাড়িত করতে ব্যাপক নিষ্ঠুরতা চালিয়ে যাচ্ছে। রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে রাতে কারফিউ থাকে।
কেউ ঘর থেকে বেরোলেই গুলি করে হত্যা করে। ঘরে ঢুকে যুবতী মেয়েদের তুলে নিয়ে যায়। রাখাইন যুবকরা রোহিঙ্গাদের ঘরে থাকা চাল-ডালসহ সব খাদ্যবস্তু ও মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়। এমনকি রোহিঙ্গাদের গরু-বাছুর, হাঁস-মুরগি পর্যন্ত নিয়ে যায়। এভাবে রোহিঙ্গাদের বাধ্য করা হয় বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে। এখনো মিয়ানমারে আছেন কিংবা সদ্য পালিয়ে এসেছেন এমন রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মোবাইলে ও সরাসরি কথা বলে। সেখানে থাকা রোহিঙ্গাদের গোপনে করা অনেক ছবি ও ভিডিও এসেছে তাঁর হাতে। সেগুলোতে লুটপাট ও নির্যাতনের দৃশ্য রয়েছে। মিয়ানমার সরকার তাহলে কিসের ভিত্তিতে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলছে? এমন অবাধে লুটপাট ও নির্যাতন বন্ধ না হলে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা আবার প্রাণ দিতে সেখানে ফিরে যাবে কি? রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে মিয়ানমার সরকারের নূন্যতম আন্তরিকতা থাকলে তারা তো আগে সেখানে চলমান সেনা অভিযান, লুটপাট ও নির্যাতন বন্ধের উদ্যোগ নিত। ফলে মিয়ানমার সরকারের উদ্দেশ্য নিয়েই সন্দেহ থেকে যায় এবং পুরো বিষয়টিকে ছলচাতুরী বলেই মনে হয়।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যে মিয়ানমার সরকারকে নূন্যতম গুরুত্ব দিচ্ছে না, তাও এখন স্পষ্ট। দেশটির স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার, নিরাপত্তা দেওয়ার ও আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন। আনান কমিশনের সুপারিশে স্পষ্টতই রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রদান ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার কথা রয়েছে। অন্যদিকে দেশটির সেনাপ্রধান বলে চলেছেন, রোহিঙ্গারা সে দেশের কোনো জাতিগোষ্ঠী নয়, তারা বাঙালি। তাদের মিয়ানমারে থাকার কোনো অধিকার নেই। সেনাপ্রধানের সেই বক্তব্যেরই প্রতিফলন দেখা যায় এখনো চলমান সেনা অভিযানে এবং অবশিষ্ট রোহিঙ্গাদেরও বিতাড়িত করতে নেওয়া নানা কৌশলে। সেনাবাহিনীর সমর্থনে রাখাইনের উগ্রপন্থী বৌদ্ধরাও রোহিঙ্গা নিপীড়নে অংশ নিচ্ছে। এ অবস্থায় মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে এমন আশা করা কতটা যুক্তিসংগত হবে?
সে ক্ষেত্রে সমাধানের জন্য আমাদের জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছেই যেতে হবে। দৃশ্যত চীন-রাশিয়া এখন মিয়ানমারকে সবচেয়ে বেশি সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। ভারতেরও রয়েছে মৃদু সমর্থন। এই দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশেরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তাদের সঙ্গেও রোহিঙ্গা সমস্যার আশু সমাধান নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। রোহিঙ্গা সমস্যা দেশের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলার পাশাপাশি অনেক সামাজিক সমস্যাও তৈরি করছে। কক্সবাজারের জনজীবন রীতিমতো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পর্যটন সম্ভাবনা প্রায় ধ্বংসের পথে। এই সমস্যাগুলো নিয়েও আমাদের গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে এবং বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা চাই, দ্রুত রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হোক।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর